বসুন্ধরায় জমির দাম কেন কম বেশি হয়?
বসুন্ধরায় জমির দাম নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। দেখা যায় কোন জমির দাম কাঠা প্রতি ৫০ লাখ আবার কোন জমির দাম কাঠা প্রতি ১ কোটি বা তার বেশি। দামের এই পার্থক্য কেন হয়? ঠিক কি কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বসুন্ধরায় জমির দাম নির্ধারিত হয় তা জানতে পড়তে পারেন এই ব্লগটি।
ব্লক
দামের পার্থক্য সবচেয়ে বেশি হয় ব্লকের উপর ভিত্তি করে। বসুন্ধরা মেইন গেট থেকে যে ব্লকের দূরত্ব যতো বেশি, সেই ব্লকের জমির দাম ততো কম। আবার বসুন্ধরা মেইন গেট থেকে যে ব্লক যতো নিকটে সেই ব্লকে জমির দাম ততো বেশি। যেমন এ এবং বি ব্লক বসুন্ধরা মেইন গেটের সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়ায় এখানে জমির দাম সবচেয়ে বেশি। আবার পি ব্লক বসুন্ধরা মেইন গেট থেকে অনেক দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে জমির দাম তুলনামূলক ভাবে কম।
জমির আকার
জমির আকার ভেদে দামের বেশ বড় পার্থক্য হয়ে থাকে। জমির আকার যতো বড়, আপনি সেই জমিতে ততো উঁচু ভবন নির্মাণ করতে পারবেন। তাই জমির আকার যতো বড় দাম ততো বেশি। সাধারণত ৩ কাঠা জমিতে আপনি ৬ তলা ভবন নির্মাণ করার অনুমতি পাবেন, অন্য দিকে ৫ কাঠা জমিতে পাবেন ১০ তলা বাড়ি করার অনুমতি পাবেন। তাই ৩ কাঠা জমির তুলনায় ৫ কাঠা জমির দাম কাঠা প্রতি ১০-১৫ লাখ টাকা বেশি হয়ে থাকে।
ফ্রন্ট রোড
জমির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফ্রন্ট রোড অনেক বড় ফ্যাক্টর। ফ্রন্ট রোড যতো প্রশস্ত, আপনি ততো উঁচু ভবন বানানোর অনুমতি পাবেন। যেমন ২৫ ফিট ফ্রন্ট রোডের ৫ কাঠা জমিতে আপনি সাধারনত ৮ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত বাড়ি করার অনুমতি পাবেন। অন্যদিকে, ৬০ ফিট ফ্রন্ট রোডের ৫ কাঠা জমিতে আপনি সাধারনত ১২ তলা ভবন নির্মান করতে পারবেন। তাই ফ্রন্ট রোডের আকার ভেদে জমির দামে কাঠা প্রতি ১০-২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।
জমির সম্মুখ দিক
আপনার পছন্দের জমিটি উত্তরমুখী নাকি দক্ষিণমুখী তার উপর জমির দাম নির্ধারিত হবে। দক্ষিণমুখী প্লটে আলো বাতাসের সহজলভ্যতা বেশি হওয়ায় সবার পছন্দের শীর্ষে থাকে দক্ষিণমুখী জমি। আর তাই দক্ষিণমুখী জমির দামও হয় বেশি। সাধারণত উত্তরমুখী প্লটের তুলনায় দক্ষিণমুখী প্লটের দাম ৫-১০ লাখ টাকা বেশি হয়ে থাকে।
কর্নার প্লট
আপনি যদি কর্নার প্লট অর্থাৎ যে কোন রোডের প্রথম বা শেষ জমিটি কিনতে চান তাহলে অবশ্যই সেই জমিটির জন্য আপনাকে বেশি দাম গুনতে হবে। কর্নার প্লটে ২ দিক খোলা থাকায় আলো বাতাস বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও, দুই দিকে রাস্তা (একদিকে ২৫ ফিট, অন্যদিকে ৪০-৬০ ফিট বা তার বেশি এভিনিউ রোড) থাকায় যাতায়াত সহজ হয়। তাই কর্নার প্লটের চাহিদাও বেশি হয়ে থাকে। একই রোডের সাধারণ একটি জমির তুলনায় তাই কর্নার প্লটের দাম ১০-২০ লাখ টাকা বেশি হয়ে থাকে।
৩০০ ফিট সংলগ্নতা
বসুন্ধরায় জমির দাম নির্ধারণে ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জমির দূরত্ব অনেক বড় ফ্যাক্টর। সাধারণত ৩০০ ফিট হয়ে ঢাকার যে কোন জায়গায় সহজে যাওয়া যায় এবং মেইন গেটের জ্যাম এড়িয়ে সহজে বসুন্ধরার বাইরে যাওয়া যায়। তাই ৩০০ ফিট সংলগ্ন জমিগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে। যেমন কে ব্লকের মাঝামাঝি থাকা একটি জমির তুলনায় ৩০০ ফিট সংলগ্ন একটি জমির দাম ১০-২০ লাখ বেশি হবে।
বসুন্ধরায় জমি কেনা সহজ করতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে রেড ব্রিক্স প্রোপার্ট সল্যুশন। বসুন্ধরায় জমির দাম ও অন্যান্য বিষয়ে নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকুন। এছাড়াও আমাদের হাতে থাকা জমির দাম ও বিস্তারিত বিবরণ জানতে এখানে ভিজিট করুন।