কেন অন্যান্য এলাকার জমি কেনা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমি কেনা একটু বেশিই নিরাপদ?
কেন অন্যান্য এলাকার জমি কেনা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমি কেনা একটু বেশিই নিরাপদ , এ নিয়ে আলোচনা করার আগে ফেসবুক গ্রুপের একটি পোষ্ট নিয়ে কথা বলি,
গত ০৯-১১-২০২২ তারিখে ফেসবুকের একটি পোষ্ট চোখে পড়লো, পোষ্টটি করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম একটা বড় গ্রুপ Do Something Exceptional (DSE) গ্রুপ থেকে। পোষ্টটি এমন ছিলোঃ
সম্প্রতি আমার বাবা তার জীবনের বলা যায় সব সবচেয়ে ইনকাম দিয়ে ঢাকায় একটি জায়গা কিনেছেন।
তো জায়গাটা কেনার আগেই ওইখানে কয়েকজন কিছু দোকান পাট দখল করে রেখেছিল। এখন যেহেতু আমার বাবা কিনেছেন তাই উনি চাচ্ছেন উনাদের সরায় দিতে। কিন্তু তারা কেউ যেতে চাচ্ছে না।
এর মধ্যে একজন একটি মিথ্যা দলিল বানিয়েছে আরো কয়েক বছর আগে। ওই দলিল অনুযায়ী, সেই লোক আমার বাবা যাদের থেকে জায়গা কিনেছেন তাদের থেকে টাকা পায়। কিন্তু, কথা হলো টাকা তো সে আমার বাবার থেকে পায় না! পায় তাদের থেকে। তাহলে এখন তো এটা আমাদের জায়গা।
যাই হোক এরকম কয়েক পার্টি সিন্ডিকেট করে এই কাজটা করছে। আমরা থানায় গিয়েছি। পুলিশ সরাসরি আমার বাবাকে বলেছে যে টাকা ছাড়া কাজ করবে না। এখন আমরা যদি টাকা দেই ও তাদের, তাও যে তারা কাজ টা করবে তার কোন গ্যারান্টি নেই।
এলাকার কাউন্সিলর এর কাছে গিয়েও তেমন সাহায্য হয় নি। তাই আপনাদের সাহায্য চাচ্ছি, যে কোথায় গেলে আমরা সাহায্য পাবো? কোন অফিস, লোক, আদালত, মন্ত্রনালয়? কোথায়?
এতো টাকার সম্পদ তো এদের হাতে দিয়ে দিবো না।
একটা ওয়ে বলেন কেউ , যেভাবে জায়গাটা আমাদের দখলে আসবে। কারণ আমাদের কাছে সব লিগ্যাল কাগজপাতি, দলিল সব আছে। জাস্ট আমাদের সাহায্য করার মতো কোন মানুষ পাচ্ছি না।
যদি কেউ একটু সৎ হয় তাহলে এটা খুব সহজ কাজ। কারণ আমরা পুরোপুরি লিগ্যাল। জাস্ট আমাদের একটা পথ জানা দরকার।
দয়া করে সাহায্য করবেন।
পোষ্টটিঃ
ঢাকায় একটি জমি কেনা কিছু মানুষের স্বপ্ন, কিছু মানুষের বিনিয়োগ, কিছু মানুষের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই জমি কিনে যদি আপনি সমস্যায় পড়েন, তাহলে সেটা আর আপনার স্বপ্ন, বিনিয়োগ বা ভবিষ্যৎ না হয়ে মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়ায়।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের সমস্যা আছে। যেমন, আপনি একটু জমি কিনবেন, দেখবেন সেই জমি অন্য কেউ দখল করে আছে। আপনি বিল্ডিং করতে যাবেন, যেয়ে দেখবেন অন্য কেউ দোকান করে আছে বা অন্য কিছু করে আছে।
আবার এমনও হয়, আপনি জমি কিনে দেখলেন যার কাছ থেকে জমি কিনেছেন, সে ওই জমির মালিক না, ভুয়া দলিল দেখিয়ে আপনার কাছে বিক্রি করেছে। বা আপনার জমি অন্য কেউ বিক্রির জন্য ডাক দিয়েছে।
আপনি জমির আসল মালিক হলেও দেখবেন এসব সমস্যা নিয়ে আপনাকে কোট-কাচারি করা লাগছে।
কিন্তু বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জমিতে কিন্তু এ ধরনের কোন সমস্যা নাই, নেই কোন মালিকানা নিয়ে সমস্যা। কারন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জমি সংক্রান্ত সকল ধরনের বিষয়াদি বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ন্ত্রন করে, যার কারনে বসুন্ধরা একটি রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে থাকে। সরকারী রেজিস্ট্রেশন দলিলের পাশাপাশি বসুন্ধরার নিজস্ব মালিকানা এলোটমেন্ট পেপার থাকে, যা শুধু জমির আসল মালিকের কাছেই থাকে।
আবার বসুন্ধরার সকল জমি বা প্লট বাউন্ডারি করা থাকে। নির্দিষ্ট সিরিয়াল নাম্বার আছে।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রেডি প্লট কিনুন
আপনি চাইলেই অন্য কারো জমি যেমন দখল বা বিক্রি করতে পারবেন না, ঠিক তেমনি আপনার জমি অন্য কেউ দখল করতে পারবে না বা বিক্রি করতে পারবেনা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কোন ধরনের জবরদখল বা চাঁদাবাজি নাই। কেউ চাইলেও তার নিজের জমি বা আপনার জমিতে কোন দোকানপাট করতে পারবেনা। এর জন্যে অনুমোদন নিতে হয়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে আপনি মনে করতে পারেন ঢাকার ভেতর অন্য একটি শহর, যার কিছু আলাদা নিয়ম কানুন আছে, আপনি বা অন্য কেউ চাইলেও যা খুশি তা করতে পারবেন না।
কেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমি কিনবেন?
সাধারণত বসুন্ধরায় জমি/প্লটের মূল্য বছরে ২-৩ গুন বৃদ্ধি পায়। নিশ্চিত ভাবে এটি একটি লাভজনক বিনিয়োগ। তাই নতুন করে দাম বাড়ার আগেই আপনার কাঙ্ক্ষিত প্লট/জমি ক্রয় করে আপনার পরিবারের সোনালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।
বিনিয়োগের জন্যে বসুন্ধরার জমিই হচ্ছে সেরা,
বসুন্ধরায় বিনিয়োগ করুন, চিন্তামুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ুন।